শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৫ অপরাহ্ন

মেধা ও সৃজনশীল কর্মের আইনী সুরক্ষাই কপিরাইট-পিআইবি’র কর্মশালায় মতামত

মেধা ও সৃজনশীল কর্মের আইনী সুরক্ষাই কপিরাইট

মেধা ও সৃজনশীল কর্মের আইনী সুরক্ষাই হলো কপিরাইট। কোন কর্মের প্রথম ব্যক্তিই হলো সেটার স্বত্বাধিকারী। এই স্বত্বাধিকারী রক্ষা করার নামই হলো কপিরাইট আইন। কপিরাইট আইনটি যথোপযুক্ত ব্যবহার করতে পারলে মেধাস্বত্বের আর্থিক ও আইনগত সুরক্ষা পেতো। এতে করে একদিকে যেমন মেধাস্বত্ব অক্ষুণ্ন থাকতো। অপরদিকে দেশের প্রবৃদ্ধি বেড়ে যেতো। কপিরাইট আইন সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হতে পারে। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই জানে না কপিরাইট আইন কি? কিংবা এর প্রয়োগ কিভাবে হয়। কপিরাইট একটি সার্বজনীন বিষয়। মূলত মেধাস্বত্ব রয়েছে এমন কর্ম এর আওতায় পড়ে। World International Property Organization (WIPO) এর নীতিমালা অনুযায়ী সাহিত্য বা নাটকের রচয়িতা, গানের ক্ষেত্রে সুরকার ও গীতিকার, ছবির ক্ষেত্রে আলোকচিত্রকার, শিল্পকর্মের জন্য শিল্পী, চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজক, তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সফটওয়্যার কিংবা ডিভাইস সৃষ্টিকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া সকল সৃষ্টিশীল কাজের অনুবাদ, সম্প্রচার মাধ্যমের ক্ষেত্রে সম্প্রচার সংস্থা, মুদ্রণ শিল্পের প্রকাশক , অনুষ্টানের অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীর কর্মও কপিরাইটের আওতাভুক্ত।

আজ বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) ‘‘কপিরাইট আইন ও এর প্রয়োগ ’’ শীর্ষক কর্মশালায় আলোচকরা এসব কথা বলেন। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর আয়োজনে পিআইবি’র সেমিনার কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ মডারেটর হিসেবে কর্মশালা পরিচালনা করেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রোজিস্ট্রার অফ কপিরাইটস (অতিরিক্ত সচিব) মো: দাউদ মিয়া এনডিসি। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের কপিরাইট ডেপুটি রেজিস্ট্রার ( উপসচিব) আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর পরিচালক (অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ) চলতি দায়িত্ব শেখ মজলিশ ফুয়াদ। কর্মশালায় র‌্যাপোর্টিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রতিবেদক এম. এম. নাজমুল হাসান।

কর্মশালার মডারেটর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, কপিরাইট আইন যথাযথ প্রয়োগ করতে পারলে মেধাস্বত্বের মূল্যায়ন হবে। এতে কারও সৃজনশীল কর্ম অন্য কেউ নিজের নামে চালিয়ে দিতে পারবে না। ফলে মানুষ তার কর্মের স্বীকৃতির পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হবে। যা দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তিনি সুরকার, গীতিকার, লেখকসহ সৃজনশীল মানুষের মেধাস্বত্ব অটুট রাখার জন্য কপিরাইট আইন প্রয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন। কপিরাইট আইন গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হতে পারে বলে মত দেন তিনি।

আলোচনায় বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রোজিস্ট্রার অফ কপিরাইটস (অতিরিক্ত সচিব) মো: দাউদ মিয়া বলেন, মেধা ও সৃজনশীল কর্মের আইনী সুরক্ষাই হলো কপিরাইট। কোন কর্মের প্রথম ব্যক্তিই হলো সেটার স্বত্বাধিকারী। এই স্বত্বাধিকারী রক্ষা করার নামই হলো কপিরাইট আইন। কপিরাইট আইনটি যথোপযুক্ত ব্যবহার করতে পারলে মেধাস্বত্বের আর্থিক ও আইনগত সুরক্ষা পেতো। এতে করে একদিকে যেমন মেধাস্বত্ব অক্ষুণ্ন থাকতো। তিনি কপিরাইট আইন ও এর প্রয়োগ নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

কর্মশালায় বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের কপিরাইট ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উপসচিব) আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, কপিরাইট মূলত মেধাস্বত্ব ও সৃজনশীল কর্ম অটুট রেখে সমাজের কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করা। কারণ কপিরাইট আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে দেশ ও জাতির অগ্রগতি সাধিত হবে। তিনি আরো বলেন, সাহিত্য বা নাটকের রচয়িতা, গানের ক্ষেত্রে সুরকার ও গীতিকার, ছবির ক্ষেত্রে আলোকচিত্রকার, শিল্পকর্মের জন্য শিল্পী, চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজক, তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সফটওয়্যার কিংবা ডিভাইস সৃষ্টিকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া সকল সৃষ্টিশীল কাজের অনুবাদ, সম্প্রচার মাধ্যমের ক্ষেত্রে সম্প্রচার সংস্থা, মুদ্রণ শিল্পের প্রকাশক , অনুষ্টানের অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীর কর্মও কপিরাইটের আওতাভুক্ত।

কর্মশালায় সংবাদকর্মী, লেখক, প্রকাশক ও গবেষকসহ মোট ৩২ জন অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মতামত গ্রহণ করা হয় ।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




themesbazar_brekingnews1*5k
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD